Logo

মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট

ইসলামী শিক্ষার আলোকিত প্রতিষ্ঠান

আমাদের সম্পর্কে

আমাদের সম্পর্কে জানুন

মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে

দারুল আবরার—একটি বিশাল স্বপ্ন, দীর্ঘ প্রত্যাশা আর বিপুল সম্ভাবনার নাম। এটি হৃদয় মাঝে লালিত সুদীর্ঘ স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন। জরাজীর্ণ আলিয়া শিক্ষা ব্যবস্থার মাঝে যেন একটি ফুলের প্রস্ফুটন। ইলমে নববীর এক মধুময় প্রস্রবণ। ধর্মীয় ও পার্থিব জ্ঞানে সমৃদ্ধ একদল যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ মানুষ তৈরির মহৎ লক্ষ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয় দারুল আবরার মডেল কামিল মাদ্রাসা, বরিশাল। যা কেবল একটি গতানুগতিক প্রতিষ্ঠান নয়, বরং এটি বহু প্রতিষ্ঠানের আলোকবর্তিকা বা ‘পাঞ্জেরি’। এই আলোকিত প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন মুফতী মুহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম (রহ.)। যিনি শুধু প্রতিষ্ঠাতা নন, ছিলেন এই মাদ্রাসার রুহ, প্রাণ এবং দিকনির্দেশক। মাদ্রাসার প্রতিটি ইট-পাথরে তাঁর ইখলাস, পরিশ্রম ও দূরদৃষ্টির ছাপ আজও স্পষ্ট। ‘দারুল আবরার’ নামটি ছিল তাঁর আত্মিক চিন্তা থেকে উৎসারিত, যার অর্থ— ‘আবরার বা নেককারদের ঘর’। সত্যিকারের নেককার মানুষ গঠনের এক অসামান্য চেষ্টার নাম ছিল এই প্রতিষ্ঠান। রূপাতলীর ছায়া ঘেরা এক পুণ্যভূমি। বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে, মোল্লাবাড়ী কমপ্লেক্সের মাঝে অবস্থিত এক নীরব-নিঃশব্দ সাধনার আশ্রম। এক দীপ্তিময় দ্বীনি শিক্ষা কেন্দ্র—দারুল আবরার মডেল কামিল মাদ্রাসা। যেখানে প্রতিদিন ভোরে আজানের ধ্বনির সঙ্গে জেগে ওঠে এক প্রদীপ। জেগে ওঠে কুরআনের তরঙ্গ, হাদীসের গুঞ্জন আর আরবি সাহিত্যের সৌরভ। ২০২০ সাল। হঠাৎ-ই সব কিছু স্তব্ধ হয়ে গেলো। প্রাণের মানুষ, স্বপ্নের স্থপতি মুফতী রফিকুল ইসলাম (রহ.) ইন্তিকাল করলেন—ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। চোখে জল, বুকে বেদনা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পুরো দারুল আবরার পরিবার। এরপরই এলো করোনার মহাবিপর্যয়। তখন অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায় অনেক স্বপ্ন। ঠিক সেই সময়ে, কঠিন পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে, অদম্য সাহস নিয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে দারুল আবরারের হাল ধরেন তরুণ সিপাহসালার—মুফতি হাসান বিন হাবীব। তিনি একাধারে শিক্ষক, অভিভাবক এবং রাহবার। তিনি মাদ্রাসার সেই সুনসান আঙ্গিনায় আবার আলো জ্বালান। তিনি বলেন, “চ্যালেঞ্জ যদি আসে, আমরা মাথা নত করব না; বরং ছিন্ন-ভঙ্গুর অবস্থাতেই নতুন করে পথ চলব, ইনশাআল্লাহ।” তাঁর দীপ্ত ঘোষণা ছিল— “এই প্রতিষ্ঠান শুধু টিকবে না, বরং এটি হবে এ যুগের শ্রেষ্ঠ দ্বীনি দুর্গ।” আজ সেই সংগ্রামের ফসল দেখছে দেশ। আমাদের ছাত্রদের তৈরি ‘স্মার্ট সিটি’ দেখে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মহোদয় যখন বিজ্ঞানের জয়গান গান, তখন ভেঙে যায় মাদ্রাসার গতানুগতিক ধারণা। আর এই অগ্রযাত্রায় সিলমোহর দিয়েছেন খোদ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান। প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করে তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন— “মাদ্রাসাটি এই অঞ্চলের দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স দেখে আমি মুগ্ধ ও আপ্লুত। ইলম ও আমলের সঠিক বিস্তার আর ঈর্ষণীয় সাফল্য—প্রতিষ্ঠানটিকে একটি ‘মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।” ‘মডেল’ হওয়ার এই স্বীকৃতি কেবল কথায় নয়, আমরা প্রমাণ করেছি পরিসংখ্যানে। দাখিল পরীক্ষা ২০২৫। বত্রিশ জন পরীক্ষার্থী। তেইশ জন জিপিএ ফাইভ। শতভাগ সাফল্য। কিন্তু বিস্ময় সেখানে নয়, বিস্ময় হলো—গোটা বরিশাল জেলায় ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ছিল মাত্র তিনটি। আর সেই তিনটিই ছিনিয়ে এনেছে দারুল আবরারের অদম্য মেধাবীরা। এ এক অবিশ্বাস্য আধিপত্য! তারা বরিশাল বিভাগে দুইবার ‘বিভাগসেরা’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে, যা আলিয়া শিক্ষা ব্যবস্থায় এক ব্যতিক্রমী সাফল্য। এসবই প্রমাণ করে—দারুল আবরার কোনো সীমাবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নাম নয়, এটি একটি বিশ্বদর্শী স্বপ্নের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। দারুল আবরার কোনো একপাক্ষিক শিক্ষা কেন্দ্র নয়। আমরা তৈরি করেছি শিক্ষার এক পূর্ণাঙ্গ ইকো-সিস্টেম। যেখানে সোনামণিদের জন্য রয়েছে আরবি ও ইংরেজি ভার্সনে ‘নুরানি কিন্ডারগার্টেন’। হিফজ ছাত্রদের জন্য রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ‘হিফজুল কুরআন বিভাগ’। ধর্মীয় ও পার্থিব জ্ঞানের সমন্বয়ে চতুর্থ শ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত রয়েছে ‘আলিয়া বিভাগ’। মুহাক্কিক আলেম গড়ার জন্যে রয়েছে ‘জামেয়া বিভাগ’—যেখানে মাত্র ছয় বছরে দাওরায়ে হাদিস কোর্স ও ইফতা বিভাগ সম্পন্ন করা হয়। নারীদের জন্য সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ও নিরাপদ ‘আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা মহিলা মাদ্রাসা’। আর হাফেজদের জন্য আমাদের মাস্টারস্ট্রোক— ‘জামাতে তাহেলী’। যা একজন হাফেজকে মাত্র এক বছরেই জেনারেল শিক্ষার মূল স্রোতে মিশিয়ে দেয়। এ যেন ছোট আকারে দ্বীনের পূর্ণ এক জামেয়া—যেখানে তৈরি হয় গবেষক, মুফতী, দাঈ, সাহিত্যিক ও আলোকিত মানুষ। দারুল আবরার শুধু একটি মাদ্রাসা নয়—এটি একটি আন্দোলন, একটি শিক্ষা বিপ্লব, একটি দীপ্ত স্বপ্ন। এখানে রয়েছে সুন্নাতে নববীর পূর্ণ অনুসরণ, দলীয় রাজনীতি ও সন্ত্রাস মুক্ত শিক্ষাঙ্গন, সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ এবং অত্যাধুনিক টেকনোলজির মাধ্যমে নিজস্ব ওয়েব ও অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে গার্ডিয়ানরা তার সন্তানের দৈনিক উপস্থিতি এবং কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারেন। রয়েছে উন্নতমানের আবাসন ব্যবস্থা এবং আবাসিক ছাত্রদের জন্য উন্নত খাবার ও টিফিনের ব্যবস্থা। ছাত্রদের মেধা বিকাশে রয়েছে ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, বেসিক গ্রামার কোর্স, ইংলিশ ও অ্যারাবিক স্পোকেন কোর্স এবং সংগীত প্রশিক্ষণ। এছাড়াও রয়েছে ছাত্রদের সার্বক্ষণিক আমলি তদারকি। ফজর থেকে রাত দশটা—আবাসিক তত্ত্বাবধানে এখানে নিপুণ কারিগরের মতো গড়ে তোলা হয় একেকটি স্বপ্ন। আপনার সন্তান—আগামীর নক্ষত্র। তাকে কি কেবল পুথিগত বিদ্যায় বড় করবেন, নাকি ইহকাল ও পরকালের যোগ্য ইমাম হিসেবে গড়ে তুলবেন? সিদ্ধান্ত আপনার। কিন্তু সুযোগ বারবার আসে না। সীমিত আসনে ভর্তি চলছে। চলে আসুন আমাদের ক্যাম্পাসে। দারুল আবরার মডেল কামিল মাদ্রাসা, রূপাতলী, বরিশাল। ধর্মীয় ও পার্থিব জ্ঞানে সমৃদ্ধ—আদর্শ মানুষ গড়ার এক অনন্য ঠিকানা।

ক্যাফডকফ্ডভিসিজিএফ এফজিভিবিজি ভি জিআর ভি এইচভি। এক্সএসএসভ ভিবিভি কেএফএসএস বিভিন ভিজিজেবিজে c

সুন্নাতে নববীর পূর্ণ অনুসরণ।

ইসলামি ও আধুনিক শিক্ষার মাঝে চমৎকার সমন্বয়।

দলীয় রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন। সুযোগ্য ও আদর্শবান শিক্ষকমন্ডলীর মাধ্যমে পাঠদান।

ক্লাসেই পাঠ আদায় এবং সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সর্বোচ্চ চেষ্টা।

আবাসিক ছাত্রদের উন্নত খাবার ও টিফিনের ব্যবস্থা।

শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে আবাসিক ক্লাসের ব্যবস্থা।

আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্বারোপ।

শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুস্থ বিনোদন ব্যবস্থা।

ইনকোর্স ও সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ।